রাত ৫ টা ৩০ । মসজিদ থেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে মোয়াজ্জিনের সুলালিত কন্ঠের আজান,'' حى على الصلوة হায়্যা আলাছ ছলাত ; হায়্যা আ'লাল ফালাহ'' (নামাজের জন্য এসো,কল্যাণের দিকে জন্য এসো!) ''আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাওম ( নামাজ ঘুম হতে উত্তম)।'' মুমিনের কানে হয়তো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ,হয়তোবা হচ্ছে না আল্লাহর কাছে হাজিরা দেওয়ার এই ডাক। শীতের কুয়াশা ঢাকা রাতে লেপমুড়ি দিয়ে হয়তো ঘুমাচ্ছে। রাত ৫ টা ৩৫ মিনিট,মুমিনের কানের পাশে রাখা এ্যালার্মটা টিক-টিক-টিক করে বেজে উঠলো চোখ মেলে থাকালো মুমিন।চারিদিকে ঘুরিঘুট্টি অন্ধকার,শীতের হিমেল হাওয়া বয়ে গেলো মুমিনের গায়ে,সঙ্গে সঙ্গে শিউরে গায়ের লোম খাড়া হোয়ে গেলো ।ঠান্ডাকে ঠেকাতে লেপ দিয়ে আষ্টে-পৃষ্টে মুড়িয়ে নিলো সংবেদী নিউরনযুক্ত(স্নায়ুকোষ)নিজের মাংশাল দেহটাকে। শীতের বরফময় জল দিয়ে ওযু করার কথা ভাবতেই শরীরটা পুনরায় শিউরে উঠল। সে মনে মনে বলল এত কষ্ট করে নামাজ পড়তে যাওয়া দরকার কি? যদি অসুখ বিসুখ..... অতঃপর,সে শুয়ে পড়লো ! তার চোখ দুটি বন্ধ হবার উপক্রম হতেই হঠাৎ তার মনে প্রশ্ন জাগলো, "ফজরের নামাজটা কি আমার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠল না তা? " তার মনে পড়ে গেল রাসূল সঃ ইসলামের বাণী, "মুনাফিকদের জন্য ফজর এবং এশার সালাতের চেয়ে কষ্টকর আর কিছুই নেই। " আমি মুনাফিক হয়ে যাচ্ছিলাম এতক্ষণ?.. মুনাফিক শব্দটা শুনে হঠাৎ তার শরীরটা হকচকিয়ে উঠল। তৎক্ষণাৎ, মায়া জড়ানো লেপটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো নিজের শরীর থেকে। নিজের এতক্ষণের নির্বুদ্বিতার ধরুন নিজের উপর এত বেশী রাগ হলো যে, শীতের বরফশীতল জলে ওযু করার সময় তার শরীরে শীতের এতটুকুও আঁচ অনুভূত হলো না! মুমিন নামাজে আল্লাহু আকবর বলে সিজদা করে অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহকে বলে," হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও;আমাকে তুমি মুনাফিকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করো না" আর সেই মুমিন হলেন ''আপনি'' যিনি এই শীতের মধ্যেও প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে উঠেন। শীতের বরফ শীতল জলে আপনার স্নায়ুগুলো অবশ হয়ে আসলেও আল্লাহর ভয়ে আপনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওযু করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। আমরা কি হতে পারি না, স্বপ্ন দেখতে পারিনা, আত্মবিশ্বাস রাখতে পারিনা, সে মুমিন হওয়ার?.. নচেৎ,আল্লাহর কাছে মুনাফিকই আপনার পরিচয় হয়ে উঠবে, যে ফজরের ওয়াক্তেও নামাজ পড়ার জন্য উদাসীনতা দেখায়। রাত শেষে মুনাফিক বেশেই আপনি ঘুম থেকে উঠবেন!! আসুন আজ থেকে ফজরের নামাজ পড়ার শপথ করেই এ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাই। বরফশীতল জলের কথা যখন আপনাকে নামাজের কথা ভুলিয়ে দেবে, তখন সেই সময়ের কথা ভাবুন যখন বর্ষাকালে কবর নামক মাটির গর্তটাতে আপনার নিশ্চল লাশটা ভাসবে আর গ্রীষ্মকালে তা শুকিয়ে শুকনো কাঠের মতো হয়ে থাকবে।তখন থাকবে না কোনো আবহাওয়া প্রতিরোধী তোশক, থাকবেনা কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিনী যন্ত্র,থাকবে শুধু এক টুকুরো পাতলা সাদা সুতি কাপড়... সুতরাং,কিসের জন্য আপনার এত মায়া এ দেহটার প্রতি,যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দেয়?..
রাত ৫ টা ৩০ । মসজিদ থেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে মোয়াজ্জিনের সুলালিত কন্ঠের আজান,'' حى على الصلوة হায়্যা আলাছ ছলাত ; হায়্যা আ'লাল ফালাহ'' (নামাজের জন্য এসো,কল্যাণের দিকে জন্য এসো!) ''আসসালাতু খাইরুম মিনান্নাওম ( নামাজ ঘুম হতে উত্তম)।'' মুমিনের কানে হয়তো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ,হয়তোবা হচ্ছে না আল্লাহর কাছে হাজিরা দেওয়ার এই ডাক। শীতের কুয়াশা ঢাকা রাতে লেপমুড়ি দিয়ে হয়তো ঘুমাচ্ছে। রাত ৫ টা ৩৫ মিনিট,মুমিনের কানের পাশে রাখা এ্যালার্মটা টিক-টিক-টিক করে বেজে উঠলো চোখ মেলে থাকালো মুমিন।চারিদিকে ঘুরিঘুট্টি অন্ধকার,শীতের হিমেল হাওয়া বয়ে গেলো মুমিনের গায়ে,সঙ্গে সঙ্গে শিউরে গায়ের লোম খাড়া হোয়ে গেলো ।ঠান্ডাকে ঠেকাতে লেপ দিয়ে আষ্টে-পৃষ্টে মুড়িয়ে নিলো সংবেদী নিউরনযুক্ত(স্নায়ুকোষ)নিজের মাংশাল দেহটাকে। শীতের বরফময় জল দিয়ে ওযু করার কথা ভাবতেই শরীরটা পুনরায় শিউরে উঠল। সে মনে মনে বলল এত কষ্ট করে নামাজ পড়তে যাওয়া দরকার কি? যদি অসুখ বিসুখ..... অতঃপর,সে শুয়ে পড়লো ! তার চোখ দুটি বন্ধ হবার উপক্রম হতেই হঠাৎ তার মনে প্রশ্ন জাগলো, "ফজরের নামাজটা কি আমার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠল না তা? " তার মনে পড়ে গেল রাসূল সঃ ইসলামের বাণী, "মুনাফিকদের জন্য ফজর এবং এশার সালাতের চেয়ে কষ্টকর আর কিছুই নেই। " আমি মুনাফিক হয়ে যাচ্ছিলাম এতক্ষণ?.. মুনাফিক শব্দটা শুনে হঠাৎ তার শরীরটা হকচকিয়ে উঠল। তৎক্ষণাৎ, মায়া জড়ানো লেপটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো নিজের শরীর থেকে। নিজের এতক্ষণের নির্বুদ্বিতার ধরুন নিজের উপর এত বেশী রাগ হলো যে, শীতের বরফশীতল জলে ওযু করার সময় তার শরীরে শীতের এতটুকুও আঁচ অনুভূত হলো না! মুমিন নামাজে আল্লাহু আকবর বলে সিজদা করে অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহকে বলে," হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও;আমাকে তুমি মুনাফিকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করো না" আর সেই মুমিন হলেন ''আপনি'' যিনি এই শীতের মধ্যেও প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে উঠেন। শীতের বরফ শীতল জলে আপনার স্নায়ুগুলো অবশ হয়ে আসলেও আল্লাহর ভয়ে আপনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওযু করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। আমরা কি হতে পারি না, স্বপ্ন দেখতে পারিনা, আত্মবিশ্বাস রাখতে পারিনা, সে মুমিন হওয়ার?.. নচেৎ,আল্লাহর কাছে মুনাফিকই আপনার পরিচয় হয়ে উঠবে, যে ফজরের ওয়াক্তেও নামাজ পড়ার জন্য উদাসীনতা দেখায়। রাত শেষে মুনাফিক বেশেই আপনি ঘুম থেকে উঠবেন!! আসুন আজ থেকে ফজরের নামাজ পড়ার শপথ করেই এ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাই। বরফশীতল জলের কথা যখন আপনাকে নামাজের কথা ভুলিয়ে দেবে, তখন সেই সময়ের কথা ভাবুন যখন বর্ষাকালে কবর নামক মাটির গর্তটাতে আপনার নিশ্চল লাশটা ভাসবে আর গ্রীষ্মকালে তা শুকিয়ে শুকনো কাঠের মতো হয়ে থাকবে।তখন থাকবে না কোনো আবহাওয়া প্রতিরোধী তোশক, থাকবেনা কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিনী যন্ত্র,থাকবে শুধু এক টুকুরো পাতলা সাদা সুতি কাপড়... সুতরাং,কিসের জন্য আপনার এত মায়া এ দেহটার প্রতি,যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দেয়?..
Comments
Post a Comment